লেখক আরিফ আজাদ ১৯৯০ সালের ৭ জানুয়ারি,চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহন করেন। তিনি মাধ্যমিক পাশ করেন চট্টগ্রাম জেলা স্কুল থেকে। একটি সরকারি কলেজ থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন এবং এখান থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করেন। তরুণ এই লেখক একাদশ শ্রেনীতে থাকাকালীন লেখালেখি শুরু করেন।
হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ – ১৯ জুলাই ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার, গবেষক এবং শিক্ষাবিদ। তার প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়, যা তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। তিনি ২০০টিরও বেশি কথাসাহিত্য ও অ-কথাসাহিত্য রচনা করেছেন। স্বাধীনতার পরবর্তী বাংলাদেশে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন। পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন তাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক কিংবদন্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে।
মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ (১৯ আগস্ট ১৯৩৫ – নিখোঁজ ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২), যিনি জহির রায়হান নামে পরিচিত, ছিলেন একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন নির্মিত তার বিখ্যাত প্রামাণ্যচিত্র স্টপ জেনোসাইড (১৯৭১) এর জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। বাংলাদেশের সরকার তাকে ১৯৭৭ সালে মরণোত্তর একুশে পদক এবং ১৯৯২ সালে স্বাধীনতা পদক প্রদান করে সম্মানিত করেছে।
আহমদ ছফা (৩০ জুন ১৯৪৩ – ২৮ জুলাই ২০০১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি লেখক, ঔপন্যাসিক, কবি, চিন্তাবিদ ও গণবুদ্ধিজীবী। জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক ও সলিমুল্লাহ খান সহ আরো অনেকের মতে, মীর মশাররফ হোসেন ও কাজী নজরুল ইসলামের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি মুসলমান লেখক হলেন আহমদ ছফা।তার লেখায় বাংলাদেশি জাতিসত্তার পরিচয় নির্ধারণ প্রাধান্য পেয়েছে।
সমরেশ মজুমদার (১০ মার্চ ১৯৪২ – ৮ মে ২০২৩) একজন ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক। উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ সহ বহু জনপ্রিয় উপন্যাসের স্রষ্টা। তিনি বেশ কিছু টেলিভিশন ধারাবাহিকের কাহিনিকার। শহরকেন্দ্রিক জীবনের আলেখ্য বারবার উঠে এসেছে তাঁর লেখায়। যে কারণে তাকে আপাদমস্তক ‘আরবান’ লেখক বলে অনেক সময় বর্ণনা করা হয়। তিনি ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক বঙ্গবিভূষণ সহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬ – ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ ; ৩১ ভাদ্র ১২৮৩ – ২ মাঘ ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ) ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক, ও গল্পকার। তিনি দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলা ভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। লেখালিখির গুরু মানেন ফরাসি সাহিত্যিক এমিল জোলাকে। তার অনেক উপন্যাস ভারতবর্ষের প্রধান ভাষাগুলোতে অনূদিত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার জন্য তিনি ‘অপরাজেয় কথাশিল্পী’ নামে খ্যাত। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান৷ এছাড়াও, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডিলিট‘ উপাধি পান ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে। শরৎচন্দ্রের অনেকগুলি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে, এবং সেগুলো প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে।